যে কোনো ধরনের স্থাপনা তৈরির আগে যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখা জরুরী-স্থপতি সৈকত জামান শাফাত


১। প্রথমেই কি ধরনের স্থাপনা করতে চান সে বিষয়ে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।

২। পরবর্তী ধাপে অবশ্যই কোনো স্থপতি / প্রকৌশলী (সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যারা ব্যাচেলর সম্পন্ন এবং নিজ নিজ প্রফেশনাল ইনস্টিটিউটের সদস্য) তাদের পরামর্শ নিন ও সরাসরি আলোচনা করুন।

৩। আপনার উদ্দেশ্যে, চিন্তা, সামর্থ ও লক্ষ্য তুলে ধরুন। প্রকল্প নিয়ে আপনি
কি ধরনের স্বপ্ন দেখেন সেটা বলুন তাহলেই কেবল তা সুষ্ঠু বাস্তবায়ন সম্ভব।
যদি তা বাস্তবায়ন যোগ্য হয়।

৪। একজন স্থপতি কিংবা প্রকৌশলী আপনাকে অবশ্যই ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী গাইডলাইন দিবেন যা আপনি মেনে চলবেন আপনার নিজ লাভের জন্যই। বিধিমালা কখনোই ব্যক্তি স্বার্থের বিরুদ্ধে নয় এটা আপনার ও সকলের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চয়ক।

৫। স্থপতির কিংবা প্রকৌশলীর পরামর্শ আপনার প্রকল্পের ব্যয় কে সর্বোচ্চ ব্যবহার করবে এবং এর দ্বারা আপনার বিনিয়োগের সর্বোচ্চ উপযোগিতা নিশ্চিত হবে অন্যথায় অহেতুক ব্যায় বৃদ্ধি আপনার স্বপ্নপূরনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

৬। যেহেতু একটি স্থাপনা অনেক বছর ব্যবহারের জন্যই তৈরী করা হয় তাই ভবিষ্যতেও যাতে এর উপযোগিতা সমানভাবে অব্যাহত থাকে সেভাবেই তা তৈরি করা উচিত।

৭। একটি ব্যক্তিগত প্রকল্পেরও অনেক সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকে৷ সমাজ যাতে কিছু হলেও এর দ্বারা উপকৃত হতে পারে সে বিষটি নিশ্চিত করতে হবে।

৮। নকশা প্রণয়ন কিংবা পরামর্শ গ্রহনের ফি প্রকল্পের মোট ব্যয়ের খুবই সামান্য একটি অংশ। তাই তাই স্বস্তা দরের নিম্নমানের পরামর্শ গ্রহণ না করে সঠিক মানের টেকসই যুগোপযোগী নকশা প্রনয়নে আগ্রহী হওয়া উচিত যাতে করে এর দ্বারা ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র সমানভাবে উপকৃত হতে পারে।

সর্বোপরি স্থাপত্যকলা কিংবা স্থাপত্য যেহেতু মননশীল ও সৃষ্টিশীল একটি বিষয় সেহেতু এর দ্বারা কেবল স্থাপনাই নয় বরং ব্যক্তিমনের রুচিশীলতাই প্রকাশিত হয়।
ধন্যবাদ।

স্থপতি সৈকত জামান শাফাত
সহযোগী সদস্য
বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট

No comments

Powered by Blogger.