উন্নয়নের নামে নাকি ভেঙ্গে ফেলা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি!

অথচ এদেশে আধুনিক স্থাপত্য চর্চায় মানুষের আগ্রহের সূচনাটা হয়েছিলো টিএসসির মত হাতে গোনা কিছু ভবনের দিকে তাকিয়েই!


দুঃখজনক বিষয় হলো, এই উন্নয়ন ভাবনাগুলো যাঁদের মস্তিষ্কপ্রসূত, এসব পরিকল্পনা প্রণয়নে তাঁদের যোগ্যতা নেই বললেও অত্যুক্তি হয় না। কিন্তু এদেশের বাস্তবতা হচ্ছে, ঘুরেফিরে এরাই কি করে জানি এমন মহাপরিকল্পনায় জড়িয়ে যায়! 


এই মহাপণ্ডিত পরিকল্পকরা মগবাজার ফ্লাইওভার নির্মানের পর টের পান যে এটা বাঁহাতি চলাচলের জন্য ভুল করে বানানো হয়েছে। পদ্মাসেতু নির্মাণ শুরুর অর্ধ যুগ পরে এসে বুঝতে পারেন যে সেতুর রেল ট্র‍্যাকের উচ্চতা অপ্রতুল!


শুনেছি, পূর্বাচল উপশহরে নাকি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের জন্য একশ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব উন্নয়য়েনে চিন্তা সেই স্থান ঘিরে করলেই তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলো রক্ষা পায়।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশ দিয়ে মেট্রোরেল করে ইতোমধ্যেই তাঁরা এই ঐতিহাসিক রাস্তাটার সর্বনাশ করেছেন। এই সর্বনাশেরই ষোলকলা পূর্ণ করতে এবার ভাঙ্গতে যাচ্ছেন নান্দনিক এই স্থাপনাটি। 


সময় থাকতে বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউট (Institute of Architects Bangladesh), বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস সচেতন ছাত্রসমাজ, শিক্ষক, কবি, শিল্পী ও সর্বস্তরের মানুষ এমন মুর্খতার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে এগেয়ে আসবেন, এই কামনা করি।


আমি এই হঠকারী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করছি।

কপি©স্থপতি তারিকুল লাভলু স্যারের ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত। 



No comments

Powered by Blogger.