Thursday, September 3, 2020

তাইওয়ানে স্থাপত্য ও নগর পরিকল্পনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় চুয়েট শিক্ষার্থীর সাফল্য-রাশেদ পারভেজ

 তাইওয়ানে অনুষ্ঠিত ৮ম টিম-২০ (The 8th TEAM20 Architecture & Urban Planning Competition) স্থাপত্য ও নগর পরিকল্পনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর স্থাপত্য বিভাগের দুই শিক্ষার্থী। গতকাল ৩১ আগস্ট, ২০২০ খ্রি. রাতে অনলাইন ভোটিংয়ের মাধ্যমে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১০ জনের তালিকায় স্থান পায় চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের ‘১৩ ব্যাচের দুই শিক্ষার্থী তাহজীবা তারান্নুম এবং মাহজেরীন সুলতানা ঐশীর পৃথক দুটি প্রজেক্ট। গত জুনে অনলাইনে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় তাইওয়ান ও চীন ছাড়াও দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়া, ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৮৩টি প্রজেক্ট সাবমিট করা হয়। এতে তাহজীবা তারান্নুমের প্রজেক্ট ৬ষ্ঠ এবং মাহজেরীন সুলতানা ঐশীর প্রজেক্ট ৭ম স্থান নির্বাচিত হয়। উল্লেখ্য, “টিম-২০” একটি আন্তর্জাতিক স্থাপত্য শিক্ষা ও প্রতিযোগিতা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান। স্থাপত্য , নগর ও পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী স্নাতক প্রকল্পের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করাই টিম-২০ এর লক্ষ্য। 

তাহজুবা তারান্নুম 
আর্কিটেকচার -'১৩ ব্যাচ,
চুয়েট।

তাহজীবা তারান্নুমের প্রজেক্টটি ছিল বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া রেশম শিল্প নিয়ে। রেশম চাষ উন্নয়নের লক্ষ্যে “একটি আদর্শ রেশম পল্লী নির্মাণ, বাংলায় রেশম চাষের উন্নয়নের লক্ষ্য” শিরোনামের এই প্রকল্পটি মূলত বাংলাদেশ সরকারের “একটি বাড়ি, একটি খামার” শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনস্থ বাংলাদেশ রেশম চাষ উন্নয়ন বোর্ডের একটি গ্রামভিত্তিক ক্ষুদ্র প্রকল্প।

 
মাহজেরীন সুলতানা ঐশী 
আর্কিটেকচার- '১৩ ব্যাচ,
চুয়েট
 

 ত্রিপুরা উপজাতি গোষ্ঠীর ঐতিহ্যগত গৃহ নির্মাণশৈলীকে প্রাধান্য দিয়ে এবং রেশম পোকার গুটি তৈরী হতে সুতা আহরণ পর্যন্ত উৎপাদন স্থানগুলো স্থাপত্যের নিরিখে পরিকল্পনা করে শৃঙ্খলাবদ্ধ, টেকসই ও সাশ্রয়ীভাবে এ রেশমশিল্প প্রকল্পের নির্মাণ। যাতে একটি সংস্কৃতিমনা উপজাতিকে উৎপাদনশীল শিল্পের সাথে সংযুক্ত করে তাদের স্বকীয়তা ও সামাজিক অবস্থান দৃঢ়তা পায়। অন্যদিকে মাহজেরীন সুলতানার প্রজেক্টটি ছিল দিনাজপুরে একটি উন্নত কৃষি বিষয়ক গবেষণাগার এবং ট্রেনিং সেন্টারের পরিকল্পনা নিয়ে। বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপনা মহাস্থানগড়ের স্থাপত্যশৈলীকে অনুসরণ করে সাধারণ কৃষক ও গবেষকদের জন্য একটি মিলনায়তনের পরিকল্পনা করা হয় এই প্রজেক্টে। এদিকে তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দুই শিক্ষার্থী তাহজীবা তারান্নুম এবং মাহজেরীন সুলতানাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চুয়েটের এই সফলতা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি আহবান জানান। একইসাথে স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলামও বিজয়ী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

© ভোরেরবার্তা২৪.কম

No comments:

Post a Comment