Wednesday, June 17, 2020

হবিগঞ্জ নিয়ে কাজ করা||হাসান তারেক||


স্থাপত্যবিদ্যায় থিসিস প্রজেক্টে একরকম শখের বশেই হবিগঞ্জ নিয়ে কাজ করার একটা পাগলামো চেপেছিল ।  প্রজেক্ট ছিল শহরটাকে ডেভেলপ করা আর এর আরকিওলজিকাল ব্যেকগ্রাওন্ড কে সামনে নিয়ে আসা।  শহর নিয়ে স্টাডি করার সময় পুরাতন খোয়াই  নিয়েও রিসার্চ করি।  সেটেলাইট ইমেজিং এ ১৯ নম্বর ছবিতে ১৮৮৪ সালে হবিগঞ্জ এর চিত্র ও দেখা যায়। খুবএকটা স্পষ্ট না হলেও শহরের অবস্থান কিছুটা আন্দাজ করা যায়।

 সেখানে জায়গার মাপ নেওয়ার ও সুবিধা থাকায় দেখলাম পুরাতন খুয়াই এর প্রস্থ ১৫০ফিট থেকে কেথাও কেথাও ২১০ ফিট পর্যন্ত ওঠানামা পাওয়া যাচ্ছে । আর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪.৯ কিলোমিটার।  বিগত ৩৬ বছরে শহরের ঘনবসতি বেড়েছে ৫০ ভাগের ও বেশি। এই শহরের বা পুরো জেলার আরকিওলজিকাল ব্যাকগ্রাওন্ড আর নদী টা নিয়ে কাজ করলে এর চিত্র পালটে দেওয়া সম্ভব। স্কুল পালিয়ে প্রেমিক প্রেমিকা বা বন্ধুদের নিয়ে কোন রেস্টুরেন্টের গোপন সিটে বসার থেকে ওরাও ওই পার্কটাতে ঘুরতে যাবে।  খেলার জায়গাটা করে দিতে পারলে নেশা কেও দমন করা সম্ভব।  আমার মতে শহরের শবথেকে খারাপ জায়গাটা সেটা যেখানে আলো নেই,  সেখানেই নেশার জন্ম হয়। সোলার এনার্জির সহায়তা নিয়ে শহরকে বদলে দেয়া সম্ভব। পুরাতন খোয়াই কে হাতিরঝিল বানানোর দরকার নেই।  ডেভেলপ করলে সে তার নিজের পরিচয় গড়ে তুলবে।  


দুটো ছবির একটি ১৯৮৪ সালের আরেকটি ২০২০

ধন্যবাদ

No comments:

Post a Comment