টোটাল ছয় বছরে এই হিসাবে ৭২ মাসে আমি খরচ করসি ৭,২০,০০০ টাকা (সাত লাখ বিশ হাজার)। এছাড়া নিত্য দিনের পহেলা বৈশাখ, পিঠা উৎসব, নবীন বরন আছে, সেমিস্টারের রেজিস্ট্রেশন আছে। সেগুলা বাদ দিলাম।
তবে যেসব বাদ দেয়া যাবে না তা হচ্ছে একটা ভালো কনফিগারেশনের ল্যাপটপ বা পিসি। দুইটাই লাগে আসলে আমাদের। দুইটা মিলায় কম করে হলেও দেড় লাখ। ইন্ডিয়া ট্যুর আছে আবার। সেটাও লাখ টাকার মামলা। ফিফথ ইয়ারের প্রজেক্ট একটার জন্যই ৫০,০০০ বাজেট নিয়ে নামসিলাম।প্রজেক্ট ছাড়াও আরও নানা রকম খরচ থাকে ওই সময়, সেগুলা বললাম নাহ।
তো সব মিলায় এখানেই এগারো লাখ টাকার হিসাব। এরপর অসুখ বিসুখ আছে। দাওয়াত আছে। ক্যামেরা, ডিএসেলার, দামী ফোন কেনার ইচ্ছা আছে। আর্কিটেকচারের স্টুডেন্ট হলেও আমরাও তো মানুষ। :3
এগুলা বাদে রাতের পর রাত জাগা আর খাটনির কথা বাদই দিলাম, অইগুলার হিসাব নাই।
যাইহোক, শেষ কথা এটাই যে, আমাকে কেউ যত ছোট জিনিসই হোক ফ্রি ডিজাইন করতে বলবেন না। এত টাকা, সময়, শ্রম, মেধা ক্ষয় করে আজকে একটা বাড়ি ডিজাইন করতে যদি আমার এক ঘন্টাও লাগে, সেই এক ঘন্টায় ডিজাইনটা কিভাবে করতে হয় সেটা আমি এই ছয় বছর ধরে শিখে তারপর আসছি।
আত্মীয়, স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী স্পেশালি চেনা মানুষজনই এই কাজ বেশি করে। আমার উপর তাদের অবশ্যই 'দাবি' আছে, তবে এই ছয় বছর আপনি কেন আমার খোঁজ নেন নাই বা প্রজেক্ট জমার আগের দিন গুলোতে কখনই আমার জন্য ঢাকায় হরলিক্স নিয়ে দেখা করতে আসেন নাই সেটা আগে বলেন :D হ্যাঁ, সেটা সঠিকভাবে বলতে পারলে ফ্রি ডিজাইন পাওয়া যাবে।
জোকস এপারট, মানুষের সময়ের মূল্য দিতে শিখেন। যে আপনাকে যেই সার্ভিসই দিক, তার সময় টা আপনার পিছনে দিচ্ছে।শুধু আর্কিটেক্ট বলে না, যেকোন প্রফেশনেই, যে যেটা করে 'আয়' করে, সেটা কখনই ফ্রিতে করতে বলা উচিত না। কেউ যদি প্রেফেশনালি মেহেদি দেয়, তাকে দেখেই হাতটা বাড়িয়ে মেহেদি দিয়ে দেয়ার জন্য রিকোয়েস্ট করবেন না। কেউ পোট্রেট আকালে, তার প্রশংসা করার উছিলায় নিজের ছবি আকিয়ে দিতে বলবেন না, ডাক্তার দেখলেই প্রেশারটা মেপে দিতে বলবেন না।
এটিকেট শিখুন।
ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment